ইনি হলেন ভারতের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি, জেনে নিন মহান ব্যক্তিটি সম্পর্কে
Admin - April 01, 2019 -
অফবিট, ব্রেকিং নিউজ
ইনি হলেন ভারতের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি, জেনে নিন মহান ব্যক্তিটি সম্পর্কে
ভারতবর্ষের সবচেয়ে অধিক শিক্ষিত ব্যাক্তি! যাকে হয়তো আপনি, আমি চিনিনা!
পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন ।কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও? সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে, হাত পা’ও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি।এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারে, না পড়লে বিশ্বাস হবে না।তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতীয় হন !
মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম ‘শ্রীকান্ত্ জিচকার’।
পড়াশোনার কেরিয়ারটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু , তাহলেই মালুম পড়বে ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন।
১.জীবন শুরু MBBS, M.D দিয়ে।
২.এরপর L.L.B করলেন।সাথে করলেন ইন্টারন্যাশানাল ল-এর ওপর স্নাতকোত্তর।
৩.এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা,সাথে M.B.A ।
4. এরপর জার্নালিজম নিয়ে স্নাতক।
এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে লোকটা পাগল নাকি,তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি।
এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই আছে দশটা বিষয়ের ওপর! স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন খালি-
১.পাবলিক আ্যডমিনিস্ট্রেশন
২.সোশিওলজি
৩.ইকোনমিক্স
৪.সংস্কৃত(ডি.লিট)
৫.হিস্ট্রী
৬.ইংলিশ
৭.ফিলোসফি
৮.পলিটিক্যাল সায়েন্স
৯.এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি
১০.সাইকোলজি
ওপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব ক’টিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর, এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী।সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোনো না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন।
মাথা ঝিমঝিম করছে তো! তা মাথার আর দোষ কি বলুন !তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার আগে একবারটি শুধু শুনে যান।এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেয়েমি লাগছিল,ঠিক করলেন এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক! তো স্বাদ বদলাতে আমি আপনি বেড়াতে যাই,আর উনি “আই.পি.এস(IPS)” পরীক্ষায় বসলেন আর পাশ করলেন।সেটা ১৯৭৮ সাল।কিন্তু পোষালো না চাকরীটা।চাকরীটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন “আই.এ.এস(IAS)” পরীক্ষায়।১৯৮০ তে “আই.এ.এস(IAS)” হলেন।
নটে গাছটা তাহলে মুড়োলো শেষ অবধি।আজ্ঞে না মুড়োয় নি এখনো।চারমাসের মধ্যে “আই.এ.এস(IAS)” এর চাকরীটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে।১৯৮০ তে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫।উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক।সবই হল যখন তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন!সেটাও হলেন এবং একটা দুটো দপ্তরের নয়,একেবারে ১৪ টা দপ্তরের।১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।
ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও তিনি
অসাধারণ চিত্রশিল্পী,
পেশাদার ফটোগ্রাফার,
মঞ্চাভিনেতা,
সখের বেতার চালক
ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ব্যক্তিগত সংগ্রহে ৫২০০০ বই রয়েছে ওনার। ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে “ভারতবর্ষের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি”র শিরোপা দিয়েছে।১৯৮৩ তে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০৪ এ পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৪৯। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র নিভে যায়। আর শিক্ষা দিয়ে যান, যার যতো জ্ঞান তার অহংকার ততো কম।
এই আদর্শকেই জীবনের ধ্রুব সত্য বলে মেনেছিলেন শ্রীকান্ত জিচকার। তিনি জানতেন, অজ্ঞতার প্রকৃত অর্থ কি।পরবর্তীতে, লিমকা বুক অফ রেকর্ড অনুযায়ী, তিনিই ভারতের 'সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি'।
১৯৫৩ সালে নাগপুরের অঞ্জনগাঁও নামক একটি গ্রামে এক মারাঠি কৃষক পরিবারে তার জন্ম। লেখা পড়ায় আগ্রহ তার শিশু বয়স থেকেই। বহু বিষয়ের প্রতি তার অপরিসীম আগ্রহ তাকে ক্রমে ক্রমে ডাক্তারি এম বি বি এস এবং এম ডি থেকে শুরু করে এক সময় ২০ টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর অধিকারী হতে সাহায্য করেছিল, যার অধিকাংশই ছিল স্বর্ণপদক সমেত। এই বিষয়গুলির মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক আইন থেকে শুরু করে বিজনেস এডমিনিস্ত্রেশন, সংস্কৃত থেকে শুরু করে সাংবাদিকতা, - প্রায় সবই। ১৯৭৩ থেকে শুরু করে ১৯৯০ - এই সময়টুকুর মধ্যেই তিনি ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে যখন তার বয়স মাত্র ২৪, তখন তিনি আই পি এস পরীক্ষায় পাশ করেন এবং ওই চাকরী গ্রহণ করেন। যদিও অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে চাকরি ছেড়েও দেন। তারপর আই এ এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পদ গ্রহণ করেন। যদিও, মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই সে চাকরিতেও পদত্যাগ করেন। যোগদান করেন রাজনীতিতে।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নির্বাচনে বিধায়কপদে জয়লাভ করে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। একইসাথে গৃহ এবং অর্থ সমেত ১৪ টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ অবধি তিনি ছিলেন বিধায়ক। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ অবধি তিনি ছিলেন বিধান পরিষদের সদস্য। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ অবধি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য।
তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল ৫২,০০০ বই। এমনই 'বইপোকা' ছিলেন তিনি।
একাধারে তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, শিল্পী, অভিনেতা, ফটোগ্রাফার, এমনই আরও কত কি।
এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ২০০৪ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যু ঘটে, যা সমস্ত ভারতবাসীর কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতিস্বরূপ।
তাঁর আদর্শ আর অভিজ্ঞতা দিয়ে ডক্টর জিচকার গড়ে তুলেছিলেন তাঁর স্বপ্নের স্কুল 'সন্দীপনী'। নতুন প্রজন্মের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক ধ্যান-ধারনা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন তাঁর এই স্কুল। যার মুখ্য উদ্দ্যেশ্য হল কোন শিশুর সর্বাঙ্গীণ ব্যক্তিগত বিকাশ। তাঁর কাছে 'শিক্ষা' হল এমন এক জীবণশৈলী, যা সর্বাধিক মানুষকে সর্বাধিক সুখের রাজ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম। এই 'সর্বাধিক' শব্দটিই হল 'সন্দীপনীর' মূল চালিকা-শক্তি। বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য সহধর্মিণী রাজশ্রীদেবী, ডক্টর জিচকারের অসমাপ্ত কাজ নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁর স্বপ্নকে সফল রূপায়নের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, আমার পরিবারের দুই কনিষ্ঠতম সদস্য এই স্কুলের মাধ্যমিক বর্ষের ছাত্র হওয়ার সুবাদে আমার সুযোগ ঘটে এই স্কুলটি পরিদর্শনের, স্কুলের কর্মপদ্ধতি গভীরভাবে জানার। সুযোগ ঘটে ৩৭০০ ছাত্র-ছাত্রীর এই স্কুলের পরিচালকমণ্ডলীর এবং শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে আলাপচারিতার। আমি মুগ্ধ।
এই অসামান্য প্রতিভাবান ডক্টর জিচকারের প্রতি রইল সবার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
বি:দ্র: লেখাটি সংগৃহীত।
ভারতবর্ষের সবচেয়ে অধিক শিক্ষিত ব্যাক্তি! যাকে হয়তো আপনি, আমি চিনিনা!
পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন ।কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও? সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে, হাত পা’ও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি।এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারে, না পড়লে বিশ্বাস হবে না।তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতীয় হন !
মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম ‘শ্রীকান্ত্ জিচকার’।
পড়াশোনার কেরিয়ারটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু , তাহলেই মালুম পড়বে ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন।
১.জীবন শুরু MBBS, M.D দিয়ে।
২.এরপর L.L.B করলেন।সাথে করলেন ইন্টারন্যাশানাল ল-এর ওপর স্নাতকোত্তর।
৩.এরপর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর ওপর ডিপ্লোমা,সাথে M.B.A ।
4. এরপর জার্নালিজম নিয়ে স্নাতক।
এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে লোকটা পাগল নাকি,তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি।
এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর ডিগ্রীই আছে দশটা বিষয়ের ওপর! স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন খালি-
১.পাবলিক আ্যডমিনিস্ট্রেশন
২.সোশিওলজি
৩.ইকোনমিক্স
৪.সংস্কৃত(ডি.লিট)
৫.হিস্ট্রী
৬.ইংলিশ
৭.ফিলোসফি
৮.পলিটিক্যাল সায়েন্স
৯.এনসিয়েন্ট ইন্ডিয়ান হিস্ট্রী, কালচার,এন্ড আর্কেওলজি
১০.সাইকোলজি
ওপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব ক’টিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর, এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী।সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোনো না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন।
মাথা ঝিমঝিম করছে তো! তা মাথার আর দোষ কি বলুন !তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার আগে একবারটি শুধু শুনে যান।এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেয়েমি লাগছিল,ঠিক করলেন এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক! তো স্বাদ বদলাতে আমি আপনি বেড়াতে যাই,আর উনি “আই.পি.এস(IPS)” পরীক্ষায় বসলেন আর পাশ করলেন।সেটা ১৯৭৮ সাল।কিন্তু পোষালো না চাকরীটা।চাকরীটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন “আই.এ.এস(IAS)” পরীক্ষায়।১৯৮০ তে “আই.এ.এস(IAS)” হলেন।
নটে গাছটা তাহলে মুড়োলো শেষ অবধি।আজ্ঞে না মুড়োয় নি এখনো।চারমাসের মধ্যে “আই.এ.এস(IAS)” এর চাকরীটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে।১৯৮০ তে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫।উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক।সবই হল যখন তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন!সেটাও হলেন এবং একটা দুটো দপ্তরের নয়,একেবারে ১৪ টা দপ্তরের।১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন।
ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও তিনি
অসাধারণ চিত্রশিল্পী,
পেশাদার ফটোগ্রাফার,
মঞ্চাভিনেতা,
সখের বেতার চালক
ও জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও ইউনেস্কোতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ব্যক্তিগত সংগ্রহে ৫২০০০ বই রয়েছে ওনার। ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে “ভারতবর্ষের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি”র শিরোপা দিয়েছে।১৯৮৩ তে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০৪ এ পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৪৯। তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র নিভে যায়। আর শিক্ষা দিয়ে যান, যার যতো জ্ঞান তার অহংকার ততো কম।
এই আদর্শকেই জীবনের ধ্রুব সত্য বলে মেনেছিলেন শ্রীকান্ত জিচকার। তিনি জানতেন, অজ্ঞতার প্রকৃত অর্থ কি।পরবর্তীতে, লিমকা বুক অফ রেকর্ড অনুযায়ী, তিনিই ভারতের 'সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি'।
১৯৫৩ সালে নাগপুরের অঞ্জনগাঁও নামক একটি গ্রামে এক মারাঠি কৃষক পরিবারে তার জন্ম। লেখা পড়ায় আগ্রহ তার শিশু বয়স থেকেই। বহু বিষয়ের প্রতি তার অপরিসীম আগ্রহ তাকে ক্রমে ক্রমে ডাক্তারি এম বি বি এস এবং এম ডি থেকে শুরু করে এক সময় ২০ টি স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর অধিকারী হতে সাহায্য করেছিল, যার অধিকাংশই ছিল স্বর্ণপদক সমেত। এই বিষয়গুলির মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক আইন থেকে শুরু করে বিজনেস এডমিনিস্ত্রেশন, সংস্কৃত থেকে শুরু করে সাংবাদিকতা, - প্রায় সবই। ১৯৭৩ থেকে শুরু করে ১৯৯০ - এই সময়টুকুর মধ্যেই তিনি ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে যখন তার বয়স মাত্র ২৪, তখন তিনি আই পি এস পরীক্ষায় পাশ করেন এবং ওই চাকরী গ্রহণ করেন। যদিও অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে চাকরি ছেড়েও দেন। তারপর আই এ এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পদ গ্রহণ করেন। যদিও, মাত্র ৪ মাসের মধ্যেই সে চাকরিতেও পদত্যাগ করেন। যোগদান করেন রাজনীতিতে।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে নির্বাচনে বিধায়কপদে জয়লাভ করে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। একইসাথে গৃহ এবং অর্থ সমেত ১৪ টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ অবধি তিনি ছিলেন বিধায়ক। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ অবধি তিনি ছিলেন বিধান পরিষদের সদস্য। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ অবধি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য।
তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল ৫২,০০০ বই। এমনই 'বইপোকা' ছিলেন তিনি।
একাধারে তিনি ছিলেন শিক্ষাবিদ, শিল্পী, অভিনেতা, ফটোগ্রাফার, এমনই আরও কত কি।
এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ২০০৪ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যু ঘটে, যা সমস্ত ভারতবাসীর কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতিস্বরূপ।
তাঁর আদর্শ আর অভিজ্ঞতা দিয়ে ডক্টর জিচকার গড়ে তুলেছিলেন তাঁর স্বপ্নের স্কুল 'সন্দীপনী'। নতুন প্রজন্মের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক ধ্যান-ধারনা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন তাঁর এই স্কুল। যার মুখ্য উদ্দ্যেশ্য হল কোন শিশুর সর্বাঙ্গীণ ব্যক্তিগত বিকাশ। তাঁর কাছে 'শিক্ষা' হল এমন এক জীবণশৈলী, যা সর্বাধিক মানুষকে সর্বাধিক সুখের রাজ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম। এই 'সর্বাধিক' শব্দটিই হল 'সন্দীপনীর' মূল চালিকা-শক্তি। বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য সহধর্মিণী রাজশ্রীদেবী, ডক্টর জিচকারের অসমাপ্ত কাজ নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁর স্বপ্নকে সফল রূপায়নের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, আমার পরিবারের দুই কনিষ্ঠতম সদস্য এই স্কুলের মাধ্যমিক বর্ষের ছাত্র হওয়ার সুবাদে আমার সুযোগ ঘটে এই স্কুলটি পরিদর্শনের, স্কুলের কর্মপদ্ধতি গভীরভাবে জানার। সুযোগ ঘটে ৩৭০০ ছাত্র-ছাত্রীর এই স্কুলের পরিচালকমণ্ডলীর এবং শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে আলাপচারিতার। আমি মুগ্ধ।
এই অসামান্য প্রতিভাবান ডক্টর জিচকারের প্রতি রইল সবার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
বি:দ্র: লেখাটি সংগৃহীত।